২৪খবরবিডি: 'লুই আইকানের নকশার বাইরে সংসদ ভবন চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাড়ি দুটি বৈধ বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।'
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলে ২০০৩ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস নামে দুটি সংগঠন। রিট আবেদনে বলা হয়, লুই আইকানের মূল নকশা লঙ্ঘন করে সংসদ ভবন এলাকায় এসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে ২০০৪ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে বলা হয়, সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ কার্যক্রম অবৈধ। একই সঙ্গে রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করলে তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকা অবস্থায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ শেষ হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি নিয়ে আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিলেন।
'উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, জাতীয় সংসদের মূল নকশার স্থপতি লুই কান। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) আইনসভার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরু করে ১৯৬১ সালে।
নকশার বাইরে সংসদ চত্বরে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাড়ি বৈধ
১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে প্রথম সংসদ ভবন ব্যবহৃত হয়।'